মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক
টাইটেল দেখে ঘাবড়াবেন না। আমি জ্ঞান দিতে আসিনি। আমি নেশাখোর ও নই, আবার অল্প বিস্তার পানাভ্যেসের বিরুদ্ধেও নই।তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তখনি পানীয়ের গ্লাস ছুঁই, যখন ফ্রী তে পাই।তবে খেয়ে দেয়ে মা কে বলতে হয় যে গঙ্গাজল খেলাম (আজ্ঞে, আমরা বাঙালীরা ভাত, জল, বাতাস সবকিছুই খাই), নাহলে আমার জন্য গৃহদ্বার রূদ্ধ হয়ে যাবে।
আমি শুরু করেছিলাম হাড়িয়া দিয়ে, সাল টা ছিল ২০১১। কেমন butter মিল্ক এর মত দেখতে ছিল।তবে পরিমানে তা পোলিও ড্রপের থেকেও কম খাওয়ায় কিছুই বুঝতে পারিনি। তারপর cut to ২০১৫।সে ছিল আমার প্রথম একাকী ইউরোপ ভ্রমণ, এমনিতেই 'গায়ে আমার পুলক লাগে, চোখে ঘনায় ঘোর'। All roads lead to Rome, তারমধ্যে কোনো এক রোড ধরে, এক গরমের সন্ধ্যেয় আমিও রোমে নামলাম, বর্তমান স্বামী-তদানন্তীন বয়ফ্রেইন্ড এল রিসিভ করতে।একে প্রথম ইউরোপ দর্শন, দুইয়ে 'ফুচকার সাথে ফ্রী চূড়মুড় এর মত', দু-বছর বাদে বয়ফ্রেইন্ড এর সাথে দেখা হওয়া, মন অত্যন্ত পুলকিত। চারিদিকে যাই দেখি, আদেখলের মত ভাল লাগে। কুত্তারা রাস্তায় potty করছে, মালিক বা মালকিন সেটা পরিষ্কার করছে, এইটা দেখতেও হেব্বি cute লাগছে।তা এতো আনন্দ তো আর শুধু মুখে সেলিব্রেট করা যায় না, হালকা তো গলা ভেজাতেই হয়। ডিনার টেবিলে দুই হাতে ছুরি, চামচ নিয়ে, পা এর পর পা তুলে বসে, মহারানীর মত বললাম, হাম ওয়াইন খায়েঙ্গে। বলাই বাহুল্য, বিল আমি পে করবনা।
১২ ঘন্টার বেশী জার্নি করে এসেছি, শরীর অত্যন্তই অবসন্ন। বারন শুনলাম না, জোর করেই অর্ডার করলাম। দুটো বড় বড় গ্লাস ভর্তি লাল চা র মত দেখতে রেড ওয়াইন চলে এল। Toast to our reunion and my solo trip বলে যখন সে গ্লাসে চুমুক দিলাম, সে তরল confused হয়ে গেল, মুখের বাইরে যাবে না ভেতরে ঢুকবে।অতি কষ্টে দু চুমুক দিলাম, আর পারলাম না। সে বছরের মত মদ্যপানে ওখানেই ইতি।
পরবতী পান করেছি ২০১৬ এর ডিসেম্বরে, এক কনফারেন্সে, সদ্য বিবাহিত পতিদেবতার সাথে বিচ্ছেদের দুঃখে, আর 'talk' হয়ে গেছে, এই আনন্দে। পরিমান খুবই অল্প নিয়েছিলাম, তবে মন্দ লাগেনি। তারপর কেটে গেছে বেশ কিছু দিন, ভারতবর্ষের বেশ কিছু রাজ্যে রাজ্যপাট বদলেছে এর মধ্যে।ওয়াইন এর সাথে আমার স্বাদকোরক গুলোর বন্ধুত্বও বেড়েছে, তবে পরিমিত। এর মধ্যে এক দুবার বিয়ার চেখে দেখেছি, ভাল লাগেনি। তবে প্রথম হার্ড ড্রিঙ্কস ট্রাই করি এ বছরের গোড়ার দিকে। প্রথম দিন নিয়েছিলাম সেক্স অন দা বিচ। খুব খারাপ না লাগায় মহা উৎসাহিত হয়ে আর একদিন ট্রাই করার প্ল্যান হল। পরের দিন শুরু করেছি রেড ওয়াইন দিয়ে, তার পর গড ফাদার, টাকিলা , আরো ১-২ রকম খেয়েছি। খেতে বেশ ভালোই লেগেছে, বেশ হোমিওপ্যাথি ওষুধের মত। বার থেকে ফেরার পথে সারা রাস্তা বর কে বলতে বলতে এসেছি যে দেখ, আমি মদ খেয়ে উল্টে যায়না, একদম ঠিক থাকি। এই অব্দি ঠিক ছিল, আসল অ্যাকশন শুরু হল পরের দিন সকাল থেকে। প্রচন্ডও মাথা ব্যাথায় শয্যাশায়ী, প্যারাসিটামল খেয়েও কমছে না। আমার বর বেচারা সেদিন একা সব কাজ করেছে, রান্না করা, বাসন মাজা, কাপড় কাঁচা থেকে ঘর পরিষ্কার করা। এমনকি আমার বড় luggage টাও গুছিয়েছে, কেন কি তার পরের দিন সকালেই আমার ছুটি কাটিয়ে কাজে ফেরার ফ্লাইট।আর আমি সারাদিন ঘুমিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ২টো প্যারাসিটামল এ সেই মাথা ব্যাথা সারে, সন্ধ্যের দিকে।যাই হোক, এর পর আমি ঠিক করেছি, নো মোর হার্ড ড্রিঙ্কস। Migrane আর সাইনাস, আমার কাছে অলরেডি অনেক কারণ আছে মাথা ব্যাথা হওয়ার, আর নতুন কিছু চাইনা। সেরে ওঠার পর বর জানাল যে এই মাথা ব্যাথার পোশাকী নাম hangover ।
এরপর থেকে আমি একমাত্র ওয়াইন ছুঁই। বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে লং ফ্লাইটে ডিনার এর পর চুমুক দিতে দিতে জ্যাজ শোনা। একঘেঁয়ে চলার বিরক্তিটা চলে যায়। তবে, রেড আর white এর বাইরে বুঝিনা, মানে কোনো স্পেসিফিক ব্র্যান্ড এর নাম জানিনা। দোকানী কিছু জিজ্ঞেস করলে, হা করে থাকি। তবে যে ব্র্যান্ড এরই হোক, রেড ওয়াইন খেলে বেশ ভালো লাগে। তাই একদিন মাঝরাতে ১২ টার সময় বর কে ঘুম ভাঙিয়ে বললাম, there should be some madness in life, let's drink wine. ঘরে কারো গিফট করা একটা আর্ধেক bottle ছিল রেড ওয়াইন এর। বর বেচারার কাঁচা ঘুম ভেঙে উঠে কিছুক্ষন সময় লাগাল পুরো টা বুঝতে। তারপর মাঝরাতে হালকা জোরে জ্যাজ চালিয়ে, ছোট্ট করে রেড ওয়াইন।
তবে এই পানাহার যতই ভাল লাগুক, অবশ্যই তা পরিমিত হওয়া উচিত।লাক্সারি আর নেসেসিটির মধ্যে পার্থক্য টা বোঝা উচিত, জীবনে ভাত, ডাল আর বিরিয়ানির তফাৎ টা বুঝতে শেখার মত। তাই আমার মত ফ্রী তে খান, গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে নয়।
আমি শুরু করেছিলাম হাড়িয়া দিয়ে, সাল টা ছিল ২০১১। কেমন butter মিল্ক এর মত দেখতে ছিল।তবে পরিমানে তা পোলিও ড্রপের থেকেও কম খাওয়ায় কিছুই বুঝতে পারিনি। তারপর cut to ২০১৫।সে ছিল আমার প্রথম একাকী ইউরোপ ভ্রমণ, এমনিতেই 'গায়ে আমার পুলক লাগে, চোখে ঘনায় ঘোর'। All roads lead to Rome, তারমধ্যে কোনো এক রোড ধরে, এক গরমের সন্ধ্যেয় আমিও রোমে নামলাম, বর্তমান স্বামী-তদানন্তীন বয়ফ্রেইন্ড এল রিসিভ করতে।একে প্রথম ইউরোপ দর্শন, দুইয়ে 'ফুচকার সাথে ফ্রী চূড়মুড় এর মত', দু-বছর বাদে বয়ফ্রেইন্ড এর সাথে দেখা হওয়া, মন অত্যন্ত পুলকিত। চারিদিকে যাই দেখি, আদেখলের মত ভাল লাগে। কুত্তারা রাস্তায় potty করছে, মালিক বা মালকিন সেটা পরিষ্কার করছে, এইটা দেখতেও হেব্বি cute লাগছে।তা এতো আনন্দ তো আর শুধু মুখে সেলিব্রেট করা যায় না, হালকা তো গলা ভেজাতেই হয়। ডিনার টেবিলে দুই হাতে ছুরি, চামচ নিয়ে, পা এর পর পা তুলে বসে, মহারানীর মত বললাম, হাম ওয়াইন খায়েঙ্গে। বলাই বাহুল্য, বিল আমি পে করবনা।
১২ ঘন্টার বেশী জার্নি করে এসেছি, শরীর অত্যন্তই অবসন্ন। বারন শুনলাম না, জোর করেই অর্ডার করলাম। দুটো বড় বড় গ্লাস ভর্তি লাল চা র মত দেখতে রেড ওয়াইন চলে এল। Toast to our reunion and my solo trip বলে যখন সে গ্লাসে চুমুক দিলাম, সে তরল confused হয়ে গেল, মুখের বাইরে যাবে না ভেতরে ঢুকবে।অতি কষ্টে দু চুমুক দিলাম, আর পারলাম না। সে বছরের মত মদ্যপানে ওখানেই ইতি।
পরবতী পান করেছি ২০১৬ এর ডিসেম্বরে, এক কনফারেন্সে, সদ্য বিবাহিত পতিদেবতার সাথে বিচ্ছেদের দুঃখে, আর 'talk' হয়ে গেছে, এই আনন্দে। পরিমান খুবই অল্প নিয়েছিলাম, তবে মন্দ লাগেনি। তারপর কেটে গেছে বেশ কিছু দিন, ভারতবর্ষের বেশ কিছু রাজ্যে রাজ্যপাট বদলেছে এর মধ্যে।ওয়াইন এর সাথে আমার স্বাদকোরক গুলোর বন্ধুত্বও বেড়েছে, তবে পরিমিত। এর মধ্যে এক দুবার বিয়ার চেখে দেখেছি, ভাল লাগেনি। তবে প্রথম হার্ড ড্রিঙ্কস ট্রাই করি এ বছরের গোড়ার দিকে। প্রথম দিন নিয়েছিলাম সেক্স অন দা বিচ। খুব খারাপ না লাগায় মহা উৎসাহিত হয়ে আর একদিন ট্রাই করার প্ল্যান হল। পরের দিন শুরু করেছি রেড ওয়াইন দিয়ে, তার পর গড ফাদার, টাকিলা , আরো ১-২ রকম খেয়েছি। খেতে বেশ ভালোই লেগেছে, বেশ হোমিওপ্যাথি ওষুধের মত। বার থেকে ফেরার পথে সারা রাস্তা বর কে বলতে বলতে এসেছি যে দেখ, আমি মদ খেয়ে উল্টে যায়না, একদম ঠিক থাকি। এই অব্দি ঠিক ছিল, আসল অ্যাকশন শুরু হল পরের দিন সকাল থেকে। প্রচন্ডও মাথা ব্যাথায় শয্যাশায়ী, প্যারাসিটামল খেয়েও কমছে না। আমার বর বেচারা সেদিন একা সব কাজ করেছে, রান্না করা, বাসন মাজা, কাপড় কাঁচা থেকে ঘর পরিষ্কার করা। এমনকি আমার বড় luggage টাও গুছিয়েছে, কেন কি তার পরের দিন সকালেই আমার ছুটি কাটিয়ে কাজে ফেরার ফ্লাইট।আর আমি সারাদিন ঘুমিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ২টো প্যারাসিটামল এ সেই মাথা ব্যাথা সারে, সন্ধ্যের দিকে।যাই হোক, এর পর আমি ঠিক করেছি, নো মোর হার্ড ড্রিঙ্কস। Migrane আর সাইনাস, আমার কাছে অলরেডি অনেক কারণ আছে মাথা ব্যাথা হওয়ার, আর নতুন কিছু চাইনা। সেরে ওঠার পর বর জানাল যে এই মাথা ব্যাথার পোশাকী নাম hangover ।
এরপর থেকে আমি একমাত্র ওয়াইন ছুঁই। বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে লং ফ্লাইটে ডিনার এর পর চুমুক দিতে দিতে জ্যাজ শোনা। একঘেঁয়ে চলার বিরক্তিটা চলে যায়। তবে, রেড আর white এর বাইরে বুঝিনা, মানে কোনো স্পেসিফিক ব্র্যান্ড এর নাম জানিনা। দোকানী কিছু জিজ্ঞেস করলে, হা করে থাকি। তবে যে ব্র্যান্ড এরই হোক, রেড ওয়াইন খেলে বেশ ভালো লাগে। তাই একদিন মাঝরাতে ১২ টার সময় বর কে ঘুম ভাঙিয়ে বললাম, there should be some madness in life, let's drink wine. ঘরে কারো গিফট করা একটা আর্ধেক bottle ছিল রেড ওয়াইন এর। বর বেচারার কাঁচা ঘুম ভেঙে উঠে কিছুক্ষন সময় লাগাল পুরো টা বুঝতে। তারপর মাঝরাতে হালকা জোরে জ্যাজ চালিয়ে, ছোট্ট করে রেড ওয়াইন।
তবে এই পানাহার যতই ভাল লাগুক, অবশ্যই তা পরিমিত হওয়া উচিত।লাক্সারি আর নেসেসিটির মধ্যে পার্থক্য টা বোঝা উচিত, জীবনে ভাত, ডাল আর বিরিয়ানির তফাৎ টা বুঝতে শেখার মত। তাই আমার মত ফ্রী তে খান, গ্যাঁটের পয়সা খরচ করে নয়।
Comments
Post a Comment