রাশিফল (Chotto Prochesta)


সকাল ৭টা , ঘুম থেকে উঠে আড়ামোড়া ভাঙতে ভাঙতে টিয়া ব্যালকনি থেকে news paper টা নিয়ে এলো। এ তার রোজকার রুটিন। বাসিমুখেই প্রথম পাতার হেডলাইন গুলো দেখা চাই। তার সকালের মূল আকর্ষণ অবশ্য লুকিয়ে থাকে দ্বিতীয় পাতায়।  হ্যাঁ , ঠিকই ধরেছেন, রাশিফল। যদিও সে দাবি জানায় যে সে কোনোরকম কুসংস্কার এ বিশ্বাস করেনা, তবুও রোজ সকালে উঠে রাশিফলটা না দেখলে, তার দিনটা ঠিক জমে না। অন্য সময় হলে, বেশিরভাগ দিনই সময়মত কলেজ পৌছানোর  তাড়ায়  ভুলে যায় কি লেখা ছিল। এখন অবশ্য কোনো কিছু আর আগের মত নেই। করোনার জন্য ঘরে বসেই কলেজের ক্লাস করাতে হয়। কোথাও পৌছানোর তাড়াও নেই, চাকরির সুবাদে একা থাকার দরুন কারো সাথে কথা বলারও নেই।  তাই, আজকাল রাশিফল গুলো একটু বেশিক্ষনই মনের মধ্যে গেঁথে থাকে।  ভালো কিছু লেখা থাকলে , মন টা হাল্কা লাগে। খারাপ কিছু লেখা থাকলেই, মন টা  সারাদিন খুঁত খুঁত করে।  আজ রাশিফলে লেখা আছে, আগুন থেকে বিপদ। বার বার করে মন থেকে কথাটা বের করে দিলেও, আবার মনে পরে যাচ্ছে। সকালে রান্না টাও খুব সাবধানে করল। সকাল গড়িয়ে বিকেল হল, কিছুই ঘটলো না।  তবুও মনটা ভার হয়ে রইলো। কি হয়, কি হয় ভাবতে ভাবতে, বিকেলের চা টা সে একটু অন্যমনস্ক হয়েই বসিয়েছিলো গ্যাস এ।  হুঁশ ফিরলো, হাতে গরম ছ্যাঁকা খেয়ে। খেয়াল করে গ্যাস বন্ধ করলেও, মনের ভুলে কখন যে খালি হাতে গরম চায়ের বাটিটা ওভেন থেকে নামাতে গেছে, খেয়াল করেনি।তবে ছ্যাঁকাটা টিয়ার শুধু হাতেই লাগেনি, মনেও লেগেছে। সকালে যদি সে রাশিফল টা না দেখতো , তাহলে এরকম বেখেয়ালে হয়তো হাত পোড়াতো না।  এই সব ভবিষ্যতবাণী , রাশিফল যে কতটা ফালতু ব্যাপার, শেষপর্যন্ত সে বুঝতে পারলো। 

Comments

Popular posts from this blog

মাখনবন্দী ওটস

কাবলি ছোলার পোলাও  

Ragi cheela no. 1