How I made Parksanali

 শুক্রবারের বারবেলা। দুপুরে রান্না করার ইচ্ছা ছিলনা মোটেই। কিন্তু খুব খিদেও পেয়েছিলো, সকালে দুধ চিড়ে খেয়ে কাটিয়েছি। পেটের তাগিদেই অগত্যা রান্না বসাতে হল, আলু সিদ্ধ ভাত আর মুসুর ডাল সেদ্ধ। দুপুরে সব টুকু ডাল শেষ হয়নি, বেশ কিছুটা থেকে গেছিল। 

এদিকে Johannesburg এ আজকাল বিকেলবেলা আবহাওয়া খুব মনোরম হয়ে যায়, বসন্ত আসছে এখানে এখন। বিকেল হলেই মন টা কেমন খাই খাই করে, বেশিরভাগ দিনই কি খাব বুঝে উঠতে পারিনা। আর যেটাই খাব, বানিয়ে খেতে হবে, এটা ভেবে বিস্কুট/কুকিজ  আর চা খেয়েই চালাতে হয়। আজ হঠাৎ কিচেনে দুপুরের ডাল দেখে মনে পড়ল, কিছুদিন আগে Youtube এ মুগডালের মুগপাকান পিঠে বানানো দেখেছিলাম। আমার কাছে যদিও মুসুরডাল সিদ্ধ আছে, তবু মনে হলো একবার এটা দিয়েই ট্রাই করে দেখি, অখাদ্য নিশ্চয় হবেনা।         

তো যেমন ভাবা তেমন কাজ। বানাতে গিয়ে প্রচুর ছড়িয়েছি, অগুনতি বাসনপত্র লেগেছে। প্রায় নাকের জল, চোখের জল এক হয়ে যাচ্ছিল, অর্ঘ্য এসে বাঁচাল তখন (রামের যেমন লক্ষণ ছিল, আমার আপাতত এখন একটা অর্ঘ্য আছে তেমন) ।এই পিঠে বানাতে, মূলতঃ সিদ্ধ ডালের সাথে ময়দা মেখে, লেচি কেটে, পছন্দমত আঁকারে কেটে নিয়ে তেলে ভেঁজে চিনির রসে ডুবিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতে হয়। 

চিনির রসে ডোবানো 

কড়াই থেকে গরম-গরম ভেঁজে তোলা 

মুসুর ডাল দিয়ে বানালেও খেতে খুব খারাপ হয়নি, গরম চা এর সাথে শুধু (চিনির রসে না ডুবিয়ে) খেতে তো বেশ লেগেছে। চেহারা টা যদিও সাপ-ব্যাঙ কিছু একটা দেখতে হয়েছে।একটা প্রজাপতিও বানিয়েছিলাম, অর্ঘ্য দেখে বলল যে ওটা dead, decomposed প্রজাপতি হয়েছে। আমাদের বাড়ির নাম "পার্কভিউ মানোর" এর সাথে মিলিয়ে অর্ঘ্য খাবারটার নাম দিয়েছে 'পার্কসানালী'।  

Comments

Popular posts from this blog

মাখনবন্দী ওটস

কাবলি ছোলার পোলাও  

Ragi cheela no. 1